অনেকদিন লেখতে না লেখতে হঠাৎ আজ জ্ঞান লেখতে ইচ্ছে করলো। ছোটদের সবসময়
নানা ধরনের আদেশ উপদেশ দেই। তবে যেসব কথা গুলো কখনোই খুব একটা বলা হয়ে উঠে
না ভাবলাম সেগুলা আজ লিখে ফেলি।
১। সর্ব প্রথমে, যেটা নিয়ে কখনোই মাথা ঘামানু যাবে না সেটা হলো কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সবচেয়ে জনপ্রিয়/ সবচেয়ে বেশি কামাই করা যাবে।
২। চাকরীর চিন্তা আজকেই বাদ দিয়ে দেন। বাংলাদেশে এখনো এই সেক্টরের চাকুরী করার শক্ত ক্ষেত্র তৈরী হয় নাই। আর যেসব ফার্ম আছে তারা ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিটি মেইনটেইন করে এবং ৫-১০ বছরের অভিজ্ঞদের নিয়ে কাজ করে। যেটা নতুন ইঞ্জিনিয়াদের জন্য নয়।
৩। নিজের একটা ব্যক্তিগত পরিবেশ তৈরী করা সবচেয়ে জরুরী। যাদের পড়াশোনা/ টেস্টিং/ রিসার্চ/ প্রবলেম সলভ করার জন্য ফিজিক্যালি+ম্যান্টালি কোন জায়গা বরাদ্দ নেই তাদের জন্য এই পেশা নয়।
ফিজিক্যাল/ম্যান্টাল জায়গা বলতে কি বুঝায়?
# পজিটিভ ফিজিক্যাল জায়গা কেন দরকার? আপনি এমন জায়গায় থাকেন যেখানে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করার পরিবেশ ই নাই। যেখানে আপনি ২৪ ঘন্টা আপনার পিসিটা ওপেন ই করে রাখতে পারেন না। সেখানে থেকে আপনার উন্নতি হবে না। পড়াশোনা / প্রাকটিস কিছুই হবে না। এ জন্য সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আর্দশ জায়গা হলো নিজের বাসার ঘর (বাবা-মার সাথে)। যারা মেসে থাকে তাদের নিজের উদ্দ্যেগেই পরিবেশ নিজের জন্য পজিটিভ করে নিতে হবে।
# ম্যান্টাল জায়গা কেন দরকার? আপনার মাথায় যদি সব সময় ঘুরে ফেসবুকে ওই ছবিটাতে কি কোমেন্ট পরলো, কোন ফটো কোমেন্ট দেয়া যায়। কাল ওই মেয়েটার নং নিতে হবে। পরশু ওই প্রোগাম, তরশু ওই প্রোগ্রাম। ক্লাস্ট টেস্ট, এসাইনমেন্ট, পরীক্ষা। মাপ চান এই জিনিস গুলার কাছে। এসব দিয়েই যদি মেমোরী ফুল করে রাখেন, প্রবলেম সলভ/ প্রোগ্রামিং করার জন্য জায়গা কোথায় থাকবে?
সুতরাং মাথা থেকে আবর্জনা সব ফেলে দিয়ে নিজের ভালো লাগার টুলস / প্রোগ্রামের জন্য মনে সুন্দর জায়গা তৈরী করুন। ভালোবাসা তৈরী করুন।
৪। ভুল করেও এই ভুল করবেন না , কারো কাছে কোন বিষয়ে সাহায্য চেয়ে। যেই প্রোগ্রাম পারতেছেন না সেটা নিয়ে যতটুকু সময় ব্যয় করা যায় ব্যয় করুন। না পারলে অন্য কিছু নিয়ে ভাবুন। কারো কাছে সাহায্য চাইলেন তো ভবিষৎ এ সেটার একটা খেসারত দিতে হবে। যে আপনাকে সাহায্য করলো সে সবসময় আপনার থেকে তাকে সুপিরিয়র ভাববে। যেটা ভাবতে আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। একসময় হয়তো আপনি তার থেকেও ভালো প্রোগ্রামার হবেন।
৫। এমন একটা সার্কেল খুজুন, তৈরী করুন যারা আপনি যেই কাজ করতে ভালোবাসেন তারাও তা ই ভালোবাসে। প্রতিদিন তাদের সাথে ওই বিষয়ে আলাপ করুন। নিজের আপডেট দিন, তার আপডেট নিন। নিজেদের সফলতা/ ব্যর্থতা শেয়ার করুন। ভালো কমিউনিটি আপনাকে শুধু ভালো প্রোগ্রামার ই বানাবে না ভালো একজন মানুষ হিসেবেও গড়ে তুলবে।
৬। যা শিখতে ইচ্ছে করবে, জানতে ইচ্ছে করবে সেটার জন্য ২/৩ টি ভালো বই খুজে পেতে জোগাড় করে ফেলুন। বই এর থেকে আপন কেউ নাই
৭। যদি এই পেশাটাকে প্যাশন হিসেবে না নিয়ে টাকা কামানুর ভালো একটা রাস্তা হিসেবে নিতে চান তাহলে মেইনস্ট্রিম কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে আপনি সত্যিই অনেক টাকা কামাতে পারবেন (অধিকাংশই যদিও পারে না) তবে চ্যালেঞ্জ ফেস করার যে শান্তি, কম্পিট করার যে শান্তি সেটা স্বাদ কোনদিন ই আপনি পাবেন না। যদি স্বাদ না পেলেন তাহলে আর এই বিষয়ে পড়াশোনা করলেন ই বা কেন?
৮। পদার্থ বিজ্ঞানের থিউরি গুলো পড়ুন মাঝে মাঝে। ম্যাথ এর থিওরি গুলো পড়ুন। প্রথমেই ভালো প্রোগ্রামার হওয়ার চেষ্টা না করে চেষ্টা করুন আপনার কম্পিউটার টাকে চিনতে। এটা কিভাবে কাজ করে সেগুলা জানুন। ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলো নিয়ে ঘাটুন। বিভিন্ন প্যারাডিজম নিয়ে পড়াশোনা, বিভিন্ন মডেল সম্পর্কে জানুন।
৯। নিজেকে অন্য বিষয়ে পড়াশোনা করা স্বাভাবিক ছাত্র ভাবতে যাবেন না। আপনি মোটেও তাদের কাতারে পরেন না। তারা হয়তো দিনে সময় ধরে পড়াশোনা করে, বিভিন্ন ল্যাব করে। ভালো রেজাল্ট করে একসময় কর্পোরেট লাইফে ঢুকে জুনিয়র থেকে বড় অফিসার হয়ে যায়। আপনার জীবন কিন্তু এমন হবে না। আপনাকেই আপনার নিজের চাকরী দিতে হবে। পারবেন তো নিজেই নিজের বস হতে?
১০। সবশেষে, যেই বিষয় আপনাকে পেইন দিবে তা হলো রাত জাগা, রাত জাগা নিয়ে অনেকের কথা শোনা, অসামাজিক হওয়া। এইগুলা সহ্য করে যান। আপনি যা করে সফল হবেন ভবিষৎ এ মানুষ সেটাই করবে। আপনাকে অনুসরন করবে। তখন যারা আপনাকে পছন্দ করতো না তারাও আপনাকে পছন্দ করবে।
১১। টেবিল এবং ভালো চেয়ার (ভালো মানে দামি নয়, অন্তত মাজা সোজা রাখে এমন চেয়ার) ছাড়া কখনো কাজ করবেন না। একটা জিনিস মনে রাখবেন আপনাকে এভাবেই কাজ করে যেতে হবে যতদিন বাচবেন। প্রথম ২-৪ পাচ বছরেই যদি নিজের মাজা টা নষ্ট করে ফেলেন ভবিষৎ হয়তো কাজ করতে পারবেন ঠিক ই তবে সারাজীবন এই পেইন বয়ে বেড়াতে হবে।
সবোর্পরি, শুধু কোড আর কোড নিয়ে জীবন পার করে দিবেন তা তো হয় না। বেশি বেশি খাওয়া দাওয়া করুন। কথায় আছে না, Programmers turns caffeine and pizza into Code. আর হ্যা, বিদেশে কিন্তু প্রোগ্রামার দের মেয়ে’রা বিয়ে করতে চায় না। কারন তারা ভালো করেই জানে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করা মানে জীবন শেষ , সো সর্তক থাকবেন এমন যেন না হয়।
#সংগৃহীত
১। সর্ব প্রথমে, যেটা নিয়ে কখনোই মাথা ঘামানু যাবে না সেটা হলো কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সবচেয়ে জনপ্রিয়/ সবচেয়ে বেশি কামাই করা যাবে।
২। চাকরীর চিন্তা আজকেই বাদ দিয়ে দেন। বাংলাদেশে এখনো এই সেক্টরের চাকুরী করার শক্ত ক্ষেত্র তৈরী হয় নাই। আর যেসব ফার্ম আছে তারা ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিটি মেইনটেইন করে এবং ৫-১০ বছরের অভিজ্ঞদের নিয়ে কাজ করে। যেটা নতুন ইঞ্জিনিয়াদের জন্য নয়।
৩। নিজের একটা ব্যক্তিগত পরিবেশ তৈরী করা সবচেয়ে জরুরী। যাদের পড়াশোনা/ টেস্টিং/ রিসার্চ/ প্রবলেম সলভ করার জন্য ফিজিক্যালি+ম্যান্টালি কোন জায়গা বরাদ্দ নেই তাদের জন্য এই পেশা নয়।
ফিজিক্যাল/ম্যান্টাল জায়গা বলতে কি বুঝায়?
# পজিটিভ ফিজিক্যাল জায়গা কেন দরকার? আপনি এমন জায়গায় থাকেন যেখানে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করার পরিবেশ ই নাই। যেখানে আপনি ২৪ ঘন্টা আপনার পিসিটা ওপেন ই করে রাখতে পারেন না। সেখানে থেকে আপনার উন্নতি হবে না। পড়াশোনা / প্রাকটিস কিছুই হবে না। এ জন্য সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আর্দশ জায়গা হলো নিজের বাসার ঘর (বাবা-মার সাথে)। যারা মেসে থাকে তাদের নিজের উদ্দ্যেগেই পরিবেশ নিজের জন্য পজিটিভ করে নিতে হবে।
# ম্যান্টাল জায়গা কেন দরকার? আপনার মাথায় যদি সব সময় ঘুরে ফেসবুকে ওই ছবিটাতে কি কোমেন্ট পরলো, কোন ফটো কোমেন্ট দেয়া যায়। কাল ওই মেয়েটার নং নিতে হবে। পরশু ওই প্রোগাম, তরশু ওই প্রোগ্রাম। ক্লাস্ট টেস্ট, এসাইনমেন্ট, পরীক্ষা। মাপ চান এই জিনিস গুলার কাছে। এসব দিয়েই যদি মেমোরী ফুল করে রাখেন, প্রবলেম সলভ/ প্রোগ্রামিং করার জন্য জায়গা কোথায় থাকবে?
সুতরাং মাথা থেকে আবর্জনা সব ফেলে দিয়ে নিজের ভালো লাগার টুলস / প্রোগ্রামের জন্য মনে সুন্দর জায়গা তৈরী করুন। ভালোবাসা তৈরী করুন।
৪। ভুল করেও এই ভুল করবেন না , কারো কাছে কোন বিষয়ে সাহায্য চেয়ে। যেই প্রোগ্রাম পারতেছেন না সেটা নিয়ে যতটুকু সময় ব্যয় করা যায় ব্যয় করুন। না পারলে অন্য কিছু নিয়ে ভাবুন। কারো কাছে সাহায্য চাইলেন তো ভবিষৎ এ সেটার একটা খেসারত দিতে হবে। যে আপনাকে সাহায্য করলো সে সবসময় আপনার থেকে তাকে সুপিরিয়র ভাববে। যেটা ভাবতে আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। একসময় হয়তো আপনি তার থেকেও ভালো প্রোগ্রামার হবেন।
৫। এমন একটা সার্কেল খুজুন, তৈরী করুন যারা আপনি যেই কাজ করতে ভালোবাসেন তারাও তা ই ভালোবাসে। প্রতিদিন তাদের সাথে ওই বিষয়ে আলাপ করুন। নিজের আপডেট দিন, তার আপডেট নিন। নিজেদের সফলতা/ ব্যর্থতা শেয়ার করুন। ভালো কমিউনিটি আপনাকে শুধু ভালো প্রোগ্রামার ই বানাবে না ভালো একজন মানুষ হিসেবেও গড়ে তুলবে।
৬। যা শিখতে ইচ্ছে করবে, জানতে ইচ্ছে করবে সেটার জন্য ২/৩ টি ভালো বই খুজে পেতে জোগাড় করে ফেলুন। বই এর থেকে আপন কেউ নাই
৭। যদি এই পেশাটাকে প্যাশন হিসেবে না নিয়ে টাকা কামানুর ভালো একটা রাস্তা হিসেবে নিতে চান তাহলে মেইনস্ট্রিম কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে আপনি সত্যিই অনেক টাকা কামাতে পারবেন (অধিকাংশই যদিও পারে না) তবে চ্যালেঞ্জ ফেস করার যে শান্তি, কম্পিট করার যে শান্তি সেটা স্বাদ কোনদিন ই আপনি পাবেন না। যদি স্বাদ না পেলেন তাহলে আর এই বিষয়ে পড়াশোনা করলেন ই বা কেন?
৮। পদার্থ বিজ্ঞানের থিউরি গুলো পড়ুন মাঝে মাঝে। ম্যাথ এর থিওরি গুলো পড়ুন। প্রথমেই ভালো প্রোগ্রামার হওয়ার চেষ্টা না করে চেষ্টা করুন আপনার কম্পিউটার টাকে চিনতে। এটা কিভাবে কাজ করে সেগুলা জানুন। ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলো নিয়ে ঘাটুন। বিভিন্ন প্যারাডিজম নিয়ে পড়াশোনা, বিভিন্ন মডেল সম্পর্কে জানুন।
৯। নিজেকে অন্য বিষয়ে পড়াশোনা করা স্বাভাবিক ছাত্র ভাবতে যাবেন না। আপনি মোটেও তাদের কাতারে পরেন না। তারা হয়তো দিনে সময় ধরে পড়াশোনা করে, বিভিন্ন ল্যাব করে। ভালো রেজাল্ট করে একসময় কর্পোরেট লাইফে ঢুকে জুনিয়র থেকে বড় অফিসার হয়ে যায়। আপনার জীবন কিন্তু এমন হবে না। আপনাকেই আপনার নিজের চাকরী দিতে হবে। পারবেন তো নিজেই নিজের বস হতে?
১০। সবশেষে, যেই বিষয় আপনাকে পেইন দিবে তা হলো রাত জাগা, রাত জাগা নিয়ে অনেকের কথা শোনা, অসামাজিক হওয়া। এইগুলা সহ্য করে যান। আপনি যা করে সফল হবেন ভবিষৎ এ মানুষ সেটাই করবে। আপনাকে অনুসরন করবে। তখন যারা আপনাকে পছন্দ করতো না তারাও আপনাকে পছন্দ করবে।
১১। টেবিল এবং ভালো চেয়ার (ভালো মানে দামি নয়, অন্তত মাজা সোজা রাখে এমন চেয়ার) ছাড়া কখনো কাজ করবেন না। একটা জিনিস মনে রাখবেন আপনাকে এভাবেই কাজ করে যেতে হবে যতদিন বাচবেন। প্রথম ২-৪ পাচ বছরেই যদি নিজের মাজা টা নষ্ট করে ফেলেন ভবিষৎ হয়তো কাজ করতে পারবেন ঠিক ই তবে সারাজীবন এই পেইন বয়ে বেড়াতে হবে।
সবোর্পরি, শুধু কোড আর কোড নিয়ে জীবন পার করে দিবেন তা তো হয় না। বেশি বেশি খাওয়া দাওয়া করুন। কথায় আছে না, Programmers turns caffeine and pizza into Code. আর হ্যা, বিদেশে কিন্তু প্রোগ্রামার দের মেয়ে’রা বিয়ে করতে চায় না। কারন তারা ভালো করেই জানে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করা মানে জীবন শেষ , সো সর্তক থাকবেন এমন যেন না হয়।
#সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment
পোস্ট সম্পর্কে মতামত দিন